Spread the love

NIN365 Desk, Kolkata :  রবিবার সোশাল মিডিয়ায় বিমান অবতরণের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে বায়ুসেনা। সঙ্গে লেখা হয়েছে, “সম্প্রতি প্রথমবার, আইএএফ-এর সি-১৩০ জে (C-130J ) বিমান কার্গিল এয়ারস্ট্রিপে রাতে অবতরণ করেছে।” বায়ুসেনার তরফে আরও জানানো হয়েছে, এর জন্য তারা ‘টেরাইন মাস্কিং এনব়্যুট’ ব্যবহার করেছে। এই অবতরণের ফলে বায়ুসেনার গরুর কমান্ড বাহিনীর এক প্রশিক্ষণ অভিযানও শুরু হয়েছে। তবে, এই প্রশিক্ষণ অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানায়নি বায়ুসেনা। 

পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশীকে নিয়ে ঘর করতে হচ্ছে। তাই সব সময় প্রতিরক্ষা নিয়ে তৎপর থাকতে হয়। এই অবস্থায় প্রতিরক্ষায় পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সাফল্যের মুখ দেখল দিল্লি। রাতের অন্ধকারে এই প্রথম কার্গিলের অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে (এএলজি) সুপার হারকিউলিস বিমান নামাল বায়ুসেনা। সূত্রের খবর সি-১৩০জে সিরিজের এই বিমানে মূলত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আদানপ্রদান করা হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় কার্গিল অবস্থিত। নানাকারণেই রাতে বিমান নামানো এখানে অত্যন্ত প্রতিকূল। সেই কঠিন কাজটি সফল হওয়ায় স্বস্তি প্রতিরক্ষা মহলে। বায়ুসেনার পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘সম্প্রতি রাতে সি-১৩০-জে বিমানকে কার্গিলে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অবতরণ করানো হয়। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে গরুড় বাহিনীর প্রশিক্ষণও সম্পন্ন করেছে।’

পাক সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অবস্থিত কার্গিল অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড। কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ঘাঁটিতে রাতের বেলা গরুড় জওয়ানদের সাফল্যের সঙ্গে অবতরণকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের দক্ষতার প্রমাণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগেও এই উচ্চতায় রাতে বায়ুসেনার বিমান নেমেছে। তবে সেগুলি ছিল মূলত যুদ্ধবিমান। এই প্রথম পণ্যবাহী বিমান নামানো হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, কার্গিলের এই সাফল্য পরবর্তী সময়ে দৌলত বেগ ওল্ডি এএলজি বা নিয়োমা এএলজি-র মতো আরও উচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিকাঠামো বৃদ্ধির সহায়ক হবে। উল্লেখ্য, দৌলতে বেগ ওল্ডি এএলজি-র উচ্চতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬ হাজার ৭০০ ফুট। বিশ্বের উচ্চতম বিমানঘাঁটি এই দৌলত বেগ। অন্যদিকে, নিয়োমা বিমানঘাঁটির উচ্চতা প্রায় ১৩ হাজার ফুট।

কার্গিল এয়ারস্ট্রিপে রাতের অন্ধকারে নামল ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমান। এই প্রথম রাতের কার্গিলে বায়ুসেনার কোনও বিমান অবতরণ করল। সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই এয়ারস্ট্রিপ। শুধু তাই নয়, এটি হিমালয়ের কঠিন ভূখণ্ডে অবস্থিত। সে কারণে এখানে দিনের বেলাতেই বিমান নামানো পাইলটদের জন্য চ্যালেঞ্জের। তাই রাতের অন্ধকারে বিমান নামিয়ে রেকর্ড করল বায়ুসেনা।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্ধকারে সফলভাবে সি-১৩০ জে বিমান অবতরণ করানো বায়ুসেনার পাইলটদের দক্ষতার পরিচয়। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে বায়ুসেনার এলিট বাহিনী, গরুর-এর প্রশিক্ষণ অভিযানের সূচনা বায়ুসেনার সূক্ষ্ম পরিকল্পনারও পরিচয়। বায়ুসেনা জানিয়েছে, এই অভিযানের মধ্য দিয়ে তাদের বায়ু এবং স্থল শাখার মধ্যে সমন্বয়ের অনুশীলনও হয়েছে। ফলে, পাহাড়ি পরিবেশে যে কোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডের এক দুর্গম এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করেছিল বায়ুসেনার দুটি সি-১৩০ জে-২০ ‘সুপার হারকিউলিস’ সামরিক পরিবহণ বিমান। প্রতিকূল আবহাওয়ায় ওই অভিযান হয়েছিল। নভেম্বরে সিল্কিয়ারায় নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গে ধসের জেরে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে সহায়তার জন্য ভারী সরঞ্জাম এসেছিল বিমান দুটিতে। গত বছরই সুদানে রাতের অন্ধকারে পরিচালিত এক অভিযানে এই বিমান ব্যবহার করেছিল বায়ুসেনা।

শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে বায়ুসেনার এলিট বাহিনী, গরুর-এর প্রশিক্ষণ অভিযানের সূচনা বায়ুসেনার সূক্ষ্ম পরিকল্পনারও পরিচয়। বায়ুসেনা জানিয়েছে, এই অভিযানের মধ্য দিয়ে তাদের বায়ু এবং স্থল শাখার মধ্যে সমন্বয়ের অনুশীলনও হয়েছে। ফলে, পাহাড়ি পরিবেশে যে কোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডের এক দুর্গম এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করেছিল বায়ুসেনার দুটি সি-১৩০ জে-২০ ‘সুপার হারকিউলিস’ সামরিক পরিবহণ বিমান। প্রতিকূল আবহাওয়ায় ওই অভিযান হয়েছিল। নভেম্বরে সিল্কিয়ারায় নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গে ধসের জেরে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে সহায়তার জন্য ভারী সরঞ্জাম এসেছিল বিমান দুটিতে। গত বছরই সুদানে রাতের অন্ধকারে পরিচালিত এক অভিযানে এই বিমান ব্যবহার করেছিল বায়ুসেনা।

Spread the love

DISCLAIMER

Our news media denounces any form of bias and disapproves of sensationalism. The disseminated news is entirely educational and aimed at social awareness. Our media maintains absolute impartiality, adhering solely to the purpose of education and social consciousness.

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version