NIN365 Desk, Kolkata : কোলেস্টেলের এখন আর কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সেই আসছে এই সমস্যা। শুধু তাই নয়। এখন মানুষের কাজের ধরণ বদলে গিয়েছে। এক জায়গায় একটানা বসে কাজ করে যেতে হয়, যে কারণে শরীরে বিভিন্ন রোগ জাঁকিয়ে বসে। কোলেস্টেরল বাড়লে সেখান থেকে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এছাড়াও হাই কোলেস্টেরল ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজের সঙ্গে যুক্ত। আজকাল জীবনযাত্রা এমনটাই যে শরীরে একাধিক সমস্যা এসে হাজির হচ্ছে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল থেকে শুরু করে ট্রাইগ্লিসারাইড… কী নেই।
প্রতিদিন যে কোনও একটা ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল খান। পাতিলেবু, মোসাম্বি, কমলালেবু যে কোনও একটা খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে সেই সঙ্গে একাধিক শারীরিক সমস্যা থেকেও দূরে থাকা যাবে। শীতে কমলালেবু, আঙুর এসব প্রচুর পাওয়া যায়। রোজকার ডায়েটে এই দুটি ফল রাখতে ভুলবেন না
শরীরে ভাল-মন্দ এই দুই রকম কোলেস্টেরল থাকে। আর খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। যে কারণে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত রক্তপরীক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাবার আর নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকেরা সব সময় ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে ডায়েটও মেনে চলতে হবে। তবেই শরীর থাকবে সুস্থ আর কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
রোজ একটা করে আপেল খেতে পারলেও খুব ভাল। আপেলের মধ্যে থাকে পেকটিন। যা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আপেল আমাদের পরিপাকতন্ত্রের উপরও প্রভাব ফেলে যে কারণে হজম ভাল হয়
আনারসের মধ্যে থাকে ব্রোমোলিন। যা এক রকম এনজাইম এবং তা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতেও তা সাহায্য করে
শীতে এখন আমাদের দেশেও প্রচুর স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। এর মধ্যে ফাইবার থাকে অনেকটা পরিমাণে। এছাড়াও থাকে ভিটামিন সি। তাই ব্ল্যাকবেরি, ব্লু বেরি যে কোনও একটা ফল খান নিয়ম করে। এতে শরীর ভাল থাকবে
আমাদের দেহের কোষসমূহ ও আন্তকোষীয় পদার্থের অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো বিভিন্ন রকম লিপিড। নির্দিষ্ট পরিমাণ লিপিড (কোলেস্টেরল) যেমন জীবনকে বাঁচিয়ে রাখে, তেমনি লিপিডের কোনো এক বা একাধিক উপাদানের মাত্রা কম-বেশি হলে তা অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়। এখন এটা প্রতিষ্ঠিত যে রক্তে অস্বাভাবিক মাত্রায় লিপিডের উপস্থিতি হূদরোগ ও রক্তনালির অসুখের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
রক্তের লিপিডের পাঁচটি উপাদানের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়, এইচডিএলের (উপকারী কোলেস্টেরল) পরিমাণ কমে যায়। তবে এলডিএলের (অপকারী কোলেস্টেরল) পরিমাণ প্রায় স্বাভাবিক থাকে। যাদের ডায়াবেটিস ও হূদরোগ নেই তাদের জন্য রক্তে এলডিএলের নিরাপদ মাত্রা ১৩০ মিলিগ্রাম/ডিএলের কম ও এইচডিএল ৪০ মিলিগ্রাম/ডিএলের ওপরে। আর যাদের ডায়াবেটিস আছে (অথবা কোনো রকম হূদরোগ আছে) তাদের রক্তে এলডিএল ৭০ মিলিগ্রাম/ডিএলের কম ও এইচডিএলের পরিমাণ ৪০ মিলিগ্রাম/ডিএলের বেশি।
খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাত্রার কারণে কোলেস্টেরল বাড়ছে এ কথা সবাই জানেন। তবুও সচেতনতা বাড়ছে না। শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। সামান্য হেঁটেই যদি পা ব্যথা হয় তাহলেও কিন্তু সাবধান। হতে পারে কোলেস্টেরলের সমস্যা।
কোলেস্টেরল মানেই যে ক্ষতিকর, তা কিন্তু নয়। বরং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোলেস্টেরলের প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যাটা হয় দেহে কোলেস্টেরলের পরিমাণটা রেড়ে গেলে। তখন তা হূদরোগজনিত অসুস্থতার কারণ হয়ে ওঠে। দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কত, তা একমাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যায়। আর রক্তে এ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেই চিকিৎসকরা কোলেস্টেরল কমানোর জন্য ওষুধ দিয়ে থাকেন।
রক্তে কোলেস্টেরল নিঃশব্দেই বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত পরীক্ষা না করালে আপনি তা বুঝতেও পারবেন না। কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করলে তা রক্তনালির দেয়ালে জমতে শুরু করে। কোলেস্টেরল জমতে শুরু করলেই বাড়ে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। হতে পারে কিডনির সমস্যাও। তাই প্রতিটি মানুষকেই এই কোলেস্টেরল নিয়ে সচেতন হতে হবে। কোলেস্টেরলের জন্য এতগুলো রোগের আশঙ্কা বাড়লেও বহু মানুষ এর স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে কোনো খবরই রাখেন না। এ কারণেই সমস্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বাড়ে। তাই আর দেরি না করে অবশ্যই বিষয়টি জেনে নেয়াই ভালো। তবেই ভালো থাকা যাবে।
চিকিৎসকদের মতে প্রথমেই ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে প্রথমেই দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এর সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চারও প্রয়োজন। কিন্তু তার পরও যদি তেমন কোনো উন্নতি না হয় তখনই ওষুধের কথা ভাবেন চিকিৎসকরা। আর সেই ওষুধ রোগীর কোলেস্টেরলের মাত্রা ও তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত জেনেবুঝে তবেই দেয়া হয়। তার আগে চিকিৎসক জানতে চান রোগীর কো-মর্বিডিটি (দীর্ঘমেয়াদি রোগ) বা হূদযন্ত্রে সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা রয়েছে কিনা। কাজেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজ উদ্যোগে দোকান থেকে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ কিনতে যাবেন না। কারণ ওষুধটির পরিমাপ ও প্রয়োজনীয়তা একেক রোগীর ক্ষেত্রে একেক রকম। অনেক সময় রোগীর একাধিক জটিলতা থাকায় চিকিৎসকেরা ‘কম্বিনেশন মেডিসিন’ও দিয়ে থাকেন।
DISCLAIMER
Our news media denounces any form of bias and disapproves of sensationalism. The disseminated news is entirely educational and aimed at social awareness. Our media maintains absolute impartiality, adhering solely to the purpose of education and social consciousness.