NIN365 Desk, Kolkata : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সূত্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইতিমধ্যে যে সব পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন তা মাইলফলক হয়ে রয়েছে। তার বেশিরভাগই তিনি জানিয়েছেন এজলাসে বসে। কিন্তু এবার আদালতের বাইরেও শাসক দল ও সরকারের উদ্দেশে তিনি ধারাবাহিক ভাবে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিলেন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি পাঠিয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা। এদিন তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে অপসারণের জন্য যদি সুপ্রিম কোর্টে চিঠি পাঠিয়ে থাকেন, তো ভাল কথা। সে করুক। আমাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা আগেও হয়েছে। এজলাসে পেপার ওয়েট নিয়ে ঢুকে পড়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। তা নিয়ে ভাবিত নই। কিন্তু আমার একটা ভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে।”
এর পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগে। একজন নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? তিনি একটা হলফনামা দিয়ে ঘোষণা করবেন যে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত? সেটা সোশাল মিডিয়ায় সেটা পোস্ট করতে পারবেন? তা যদি তিনি পারেন, তাহলে তাঁর সমতুল নেতা যাঁরা রয়েছেন, যেমন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বা অন্য যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কাছে একই অনুরোধ রাখব”।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমরা দেখতে চাই, কার কত সম্পত্তি রয়েছে, কে কত সম্পত্তি করেছেন। আর কত সম্পত্তি করার সোর্স ছিল?”
কলকাতা হাইকোর্টের কোনও বিচারপতি রাজ্যের কোনও রাজনীতিকের বিরুদ্ধে খোলাখুলি এমন চ্যালেঞ্জ ছোড়ার নজির নেই। এটা এক প্রকার বিরল বলেই অনেকের মত। এই কারণে ইতিমধ্যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণাভ ঘোষের মতো আইনজীবীরা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
দেখব একদল চোর মিলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। বিরাট বিরাট উকিলদের দাঁড় করিয়ে তাঁরা বলবেন, আমরা চৌর্য্যব়়ৃত্তি করে বাঁচি। আমাদের বিষয় সম্পত্তি সব চুরি-চামারি করেই তৈরি করা। যদি এটা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জীবন ও জীবিকার অসুবিধা হয়ে যাবে। সুতরাং সংবিধানের ২১ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করবে। তাই আমাদের অবাধে চুরি করতে দেওয়ার অধিকার দেওয়া হোক”। তাঁর কথায়, এই রকম আবেদন যদি কোনওদিনও আদালতে হয় তাহলে অবাক হব না।
তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এদিনের কথায় অনেকেই যে অবাক বা বিষ্মিত হচ্ছেন তা নিয়ে সন্দেহ নেই। শুধু শাসক দলের নেতারা নন, বিরোধী দলের নেতারাও বিষ্মিত। বিশেষ করে রবিবার বিগ্রেডের পর সোমবার মীনাক্ষীর কথা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে উঠে আসতেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে তিনি এই সব প্রসঙ্গে আরও কথা বলতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন ।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের কোনও বিচারপতি রাজ্যের কোনও রাজনীতিকের বিরুদ্ধে খোলাখুলি এমন চ্যালেঞ্জ ছোড়ার নজির নেই। এটা এক প্রকার বিরল বলেই অনেকের মত। এই কারণে ইতিমধ্যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণাভ ঘোষের মতো আইনজীবীরা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
দেখব একদল চোর মিলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। বিরাট বিরাট উকিলদের দাঁড় করিয়ে তাঁরা বলবেন, “আমরা চৌর্য্যব়়ৃত্তি করে বাঁচি। আমাদের বিষয় সম্পত্তি সব চুরি-চামারি করেই তৈরি করা। যদি এটা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জীবন ও জীবিকার অসুবিধা হয়ে যাবে। সুতরাং সংবিধানের ২১ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করবে। তাই আমাদের অবাধে চুরি করতে দেওয়ার অধিকার দেওয়া হোক”। তাঁর কথায়, এই রকম আবেদন যদি কোনওদিনও আদালতে হয় তাহলে অবাক হব না।
তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এদিনের কথায় অনেকেই যে অবাক বা বিষ্মিত হচ্ছেন তা নিয়ে সন্দেহ নেই। শুধু শাসক দলের নেতারা নন, বিরোধী দলের নেতারাও বিষ্মিত। বিশেষ করে রবিবার বিগ্রেডের পর সোমবার মীনাক্ষীর কথা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে উঠে আসতেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে তিনি এই সব প্রসঙ্গে আরও কথা বলতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন ।
DISCLAIMER
Our news media denounces any form of bias and disapproves of sensationalism. The disseminated news is entirely educational and aimed at social awareness. Our media maintains absolute impartiality, adhering solely to the purpose of education and social consciousness.