NIN365 Desk, Kolkata : দলের অন্তর্কলহ নিত্য দিন প্রকাশ্যে চলে আসছে। সেই নিয়ে এবার কড়া বার্তা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সামনে। তার আগে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে সতর্ক করে দিলেন সকলকে। মমতা জানিয়েছেনব, এবার থেকে যা বলার দলের অন্দরেই বলতে হবে। কোনও প্রশ্ন থাকলে, বাইরে মুখ খোলা যাবে না। প্রকাশ্যে মুখ খুললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছেঁটে ফেলা হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। (Mamata Banerjee)
বলাবাহুল্য, তৃণমূলে চালু ‘সেন্সরশিপ’। দলের ভিতরের কথা বাইরে বলা যাবে না। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কেউ কোনও কথা বললে তাঁকে বহিষ্কারও করা হতে পারে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে দলীয় নেতৃত্বকে ফের কড়া বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নবীন-প্রবীণ বিতর্কের আবহে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সাংগঠনিক বৈঠক ছিল তৃণমূলের। কালীঘাটের সেই বৈঠকেই দলের শৃঙ্খলারক্ষায় কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনও বিষয়ে, কারও কোনও প্রশ্ন থাকলে, দলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র রয়েছে, দলের অন্দরে সেই নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই দলের বাইরে এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলা যাবে না। কোনও বিতর্ক বাধানো যাবে না। এতে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়। (TMC News) শৃঙ্খলাই শেষ কথা বলে জানিয়েছেন মমতা।
এদিন মমতা বৈঠকে জানান, এর পরও যদি কেউ দলবিরোধী কাজ করেন, প্রকাশ্যে মুখ খোলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাঁকে ছেঁটেও ফেলা হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি যে কড়া মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছেন, তা-ও এদিন জানিয়ে দেন মমতা। শুধু তাই নয়, দলের রাজ্যস্তরের কয়েক জন মুখপাত্রের ভূমিকায় অসন্তোষের কথাও উঠে এসেছে বৈঠকে। কয়েক জনের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন মমতা। কয়েক জনকে বাদ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন। কাদের নতুন করে নিয়োগ করা হবে, আলোচনার পর এ নিয়ে সুব্রত বক্সি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে এদিন মানস ভুঁইয়ার মুখেও একই কথা শোনা যায়। তিনি বলেন, “বুথ, পাড়া, গ্রাম, শহরের সব নেতাকে ঐক্যবদ্ধ হতে বার্তা দিয়েছেন নেত্রী। আন্দোলনের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেছেন। পরিষ্কার জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু তা দলের অন্দরেই আলোচনা করতে হবে না। দলের বাইরে কথা বলা যাবে না, যাবে না, যাবে না। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকে, বাংলার মানুষকে আমরা রক্ষা করব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাযের সেনাপতিত্বে। হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব।”
অভিষেককে এদিন নতুন একটি দায়িত্বও দেন মমতা। জানানো হয়, একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হবে দলের তরফে, যাতে সরকার মানুষের জন্য কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করছে, তার খতিয়ান থাকবে। এ নিয়ে যদিও কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “মমতা কাকে ছেঁটে ফেলবেন আর কাকে ছাঁটবেন না, সেটা তাঁর দলের অভ্য়ন্তরীণ বিষয়। সংবাদমাধ্যমে এসব আনার অর্থহীন। মানুষের উৎসাহ নেই। আগেই এমন কথা বলেছিলেন। আগে ছেঁটে ফেললে তাঁর দল এবং সরকারের ভাবমূর্তি আজ এমন হতো না।”
নবীন-প্রবীণ বিতর্কের আবহে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সাংগঠনিক বৈঠক ছিল তৃণমূলের। কালীঘাটের সেই বৈঠকেই দলের শৃঙ্খলারক্ষায় কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনও বিষয়ে, কারও কোনও প্রশ্ন থাকলে, দলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র রয়েছে, দলের অন্দরে সেই নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই দলের বাইরে এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলা যাবে না। কোনও বিতর্ক বাধানো যাবে না। এতে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়। (TMC News) শৃঙ্খলাই শেষ কথা বলে জানিয়েছেন মমতা।
এদিন মমতা বৈঠকে জানান, এর পরও যদি কেউ দলবিরোধী কাজ করেন, প্রকাশ্যে মুখ খোলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাঁকে ছেঁটেও ফেলা হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি যে কড়া মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছেন, তা-ও এদিন জানিয়ে দেন মমতা। শুধু তাই নয়, দলের রাজ্যস্তরের কয়েক জন মুখপাত্রের ভূমিকায় অসন্তোষের কথাও উঠে এসেছে বৈঠকে। কয়েক জনের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন মমতা। কয়েক জনকে বাদ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন। কাদের নতুন করে নিয়োগ করা হবে, আলোচনার পর এ নিয়ে সুব্রত বক্সি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে কালীঘাটের বুধবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, “সবাই মুখপাত্রর মতো আচরণ করছে। যে যার ইচ্ছে বলে দিচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে। এটা বন্ধ করতে হবে। দলে এবার থেকে চালু সেন্সরশিপ। দলের ভিতরের কথা বাইরে বলা যাবে না। কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ সোশাল মিডিয়ায় করা যাবে না। দলে সবার গণতন্ত্র আছে। স্বাধীনতা আছে। দলের অভ্যন্তরে কিছু সমস্যা হতেই পারে। সেটা বলতে হবে দলেই। সংবাদমাধ্যমে তা বলা যায় না।” দলনেত্রীর আরও সংযোজন, “কোনও ঝগড়াঝাঁটি বরদাস্ত করা হবে না। দল যাঁকে বলতে বলবে একমাত্র তিনিই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলবেন। বাইরে মুখ খোলা যাবে না।” লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তাও দেন মমতা। বলেন, “সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, আর মাসদুয়েক পরই লোকসভা নির্বাচন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত ঘাসফুল শিবির। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনায় বার বার সামনে এসেছে সাংসদ অর্জুন সিং এবং বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বাকতরজা। দলের নির্দেশে অর্জুন চুপ করলেও, সোমনাথ শ্যামকে লাগাম টানা যায়নি। আবার উত্তর ২৪ পরগনার অশান্তির মাঝেই হুগলির বলাগড়েও তুঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল। বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে স্থানীয় নেত্রী রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব চরম আকার নেয়। অশান্তির জল গড়ায় থানাতেও। এছাড়া ব্যাপারী বার বার সোশাল মিডিয়ায় ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাম্প্রতিক অতীতে একের পর এক নেতার আচরণে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। আর তা রুখতেই কড়া বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর।
DISCLAIMER
Our news media denounces any form of bias and disapproves of sensationalism. The disseminated news is entirely educational and aimed at social awareness. Our media maintains absolute impartiality, adhering solely to the purpose of education and social consciousness.